এবিএনএ : পানি ছাড়া আমাদের এক মুহূর্তও চলে না। রাস্তাঘাটে চলতে ফিরতে আমরা হরহামেশাই ঢকঢক করে পানি পান করে থাকি। শুধু রাস্তাঘাটে নয়, বাড়িতেও এর ব্যতিক্রম করিনা। কিন্তু আপনি কী জানেন, দাঁড়িয়ে পানি পানে বিপদ বাড়ে? শুনতে অবাক লাগলেও আসলে এটাই সত্যি। সম্প্রতি গবেষকরা বলেছেন, পানি পানেরও কিছু নিয়মকানুন আছে। আর এই নিয়ম না মেনে অনেক সময়ই আমরা দাঁড়িয়ে পানি পান করি। এতেই ডেকে আনছি বিপদ। এভাবে পানি পানে একটা নয়, একগুচ্ছ রোগ বাসা বাঁধে শরীরে। এর ফলে কিডনিও বিকল হতে পারে।
দাঁড়িয়ে পানি পানে আর কী কী বিপদ হতে পারে-
টক্সিনের পরিমাণ বাড়ে
পানি পানের পরেই ছাঁকনিগুলো শরীর পরিশ্রুত করার কাজ শুরু করে দেয়। দাঁড়িয়ে পানি পানে শরীরের অন্দরে থাকা ছাকনিগুলি সংকুচিত হয়ে যায়। ফলে পরিশ্রুত করার কাজে বাধা পায়। এতে শরীরে টক্সিনের মাত্রা বাড়তে থাকে।
পাকস্থলীতে ক্ষত তৈরি হয়
দাঁড়িয়ে পানি পানে তা সরাসরি পাকস্থলীতে গিয়ে আঘাত করে। এতে স্টোমাক থেকে নিঃসৃত অ্যাসিডের কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেয়। ফলে বদহজমের আশঙ্কা বাড়ে। এর ফলে তলপেটে যন্ত্রণাসহ একাধিক সমস্যা তৈরি হয়।
আর্থারাইটিসের আশঙ্কা
দাঁড়িয়ে পানি পানে শরীরের মধ্যে থাকা কিছু উপকারি রাসায়নিকের মাত্রা কমতে থাকে। ফলে জয়েন্টের কর্মক্ষমতা কমে যায়। সেখান থেকে আর্থারাইটিসের আশঙ্কা বাড়ে।
উদ্বেগ বাড়ে
দাঁড়িয়ে পানি পানে নার্ভ উত্তেজিত হয়ে যায়। এর ফলে উদ্বেগ বাড়তে থাকে।কিডনি ক্ষতিগ্রস্থ হয়দাঁড়িয়ে পানি পানে কিডনির কর্মক্ষমতা কমে যায়। কিডনি ড্যামেজের সম্ভাবনা থাকে।
রোগ শরীরে বাসা বাঁধে
দাঁড়িয়ে পানি পানে তা সরাসরি ইসোফেগাসে গিয়ে ধাক্কা মারে। এর ফলে পাকস্থলীর ভেতরের সরু নালিটি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। যার ফলে গ্যাস্ট্রো ইসোফেগাল রিফ্লাক্স ডিজিজ বা জিইআরডি -এর মতো রোগ শরীরে বাসা বাঁধে।কাজেই স্বাস্থ্যের সুরক্ষায় বসে পানি পান করুন। এক্ষেত্রে ছোট ছোট চুমুকে পানি পানের বিকল্প নেই। একটু সচেতন থাকলেই এই অভ্যাস আমরা সহজেই করে ফেলতে পারি। এতে সুস্থতা নিশ্চিতের পাশপাশি আমরা থাকব আরও সতেজ।